ফরিদপুর প্রতিনিধি
ফরিদপুরে নারী পাচারের দায়ে মাকসুদা বিবি (৪৮) ও মর্জিনা বেগম সোনালি (৩০) নামে দুই নারীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাদের ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। গতকাল বুধবার দুপুর ২টার দিকে ফরিদপুর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক (জেলা ও দায়রা জজ) শামীমা পারভীন এ রায় দেন। তবে রায় ঘোষণার সময় দুই আসামি পলাতক থাকায় আদালতে হাজির ছিলেন না। দণ্ডপ্রাপ্ত মাকসুদা বিবি সাতক্ষীরার বৈশালী গ্রামের বাসিন্দা। ঘটনার সময় তিনি ফরিদপুর সদর উপজেলার কানাইপুর এলাকায় ভাড়া থেকে স্থানীয় একটি জুট মিলে কাজ করতেন। অপর আসামি মর্জিনা বেগম সোনালীর বাড়ি মুন্সীগঞ্জের হটচারীপুর এলাকায়। মর্জিনা বেগম মাকসুদা বিবির সহযোগী হিসেবে পাচারের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। মামলার বিবরণে জানা যায়, ফরিদপুর শহরতলীর কানাইপুরে একটি জুট মিলে চাকরি করতেন দুই বোন। এ সুবাদে ওই জুট মিলে চাকরিরত মাকসুদা বিবির সঙ্গে তাদের সম্পর্ক হয়। ২০১২ সালের ৮ মে দুই বোনের মধ্যে বড় বোনকে নিয়ে মাকসুদা বিবি তাদের দেশের বাড়ি সাতক্ষীরায় নিয়ে যান। সেখানে তাকে সুন্দরবন দেখাবে বলে প্রলোভন দেখানো হয়। তাকে নিয়ে যাওয়ার পর থেকে তার মা রাজিয়া বেগম তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করতে থাকেন। তাদের দুজনের মোবাইল বন্ধ থাকায় সন্ধান পাওয়া যায়নি। পরে অজ্ঞাতপরিচয় এক ব্যক্তি ভারত থেকে তার ছোট মেয়ের মোবাইলে ফোন করে জানান, তার বড় বোনকে ভারতে পাচার করা হয়েছে। এবং তার বোন পুলিশ হেফাজতে রয়েছেন। পরে ওই মেয়ের মা ২০১২ সালের ২৯ মে ফরিদপুর কোতোয়ালি থানায় মামলা দায়ের করে। বর্তমানে পাচার হওয়া ওই নারী বাংলাদেশে অবস্থান করছেন। রায়ের সত্যতা নিশ্চিত করে ফরিদপুর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের পিপি অ্যাডভোকেট গোলাম রব্বানী ভূঁইয়া রতন জানান, সাক্ষী ও শুনানির পর ওই নারীকে পাচারের দায়ে দুই আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাদেরকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
নিউজটি আপডেট করেছেন : Dainik Janata
